কটিয়াদীতে জনপ্রিয় হচ্ছে বিষমুক্ত সবজি চাষ
আপডেট সময় :
২০২৪-১২-৩১ ২১:১৫:৫৩
কটিয়াদীতে জনপ্রিয় হচ্ছে বিষমুক্ত সবজি চাষ
কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে বিষমুক্ত সবজি চাষ পদ্ধতি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এই পদ্ধতি ব্যবহার করে উৎপাদিত সবজির চাহিদা বেড়েছে। ফলে দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। কটিয়াদী উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্র জানায়, রাসায়নিক সার, বালাইনাশক ও আগাছা নাশক বাদ দিয়ে সবুজ সার, কম্পোস্ট, জৈবিক বালাইদমন এবং যান্ত্রিক চাষাবাদ ব্যবহার করে শাকসবজি চাষই বিষমুক্ত জৈব সবজি উৎপাদন পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে প্রাকৃতিকভাবে ফসল উৎপাদনকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। কোনো রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার না হওয়ায় ফসল দূষিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে না । বিষমুক্ত সবজির ব্যাপক চাহিদা থাকায় বর্তমানে কৃষক এ সবজি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। এতে খরচ কিছুটা কম। তবে পরিশ্রম একটু বেশি। তবে এ সবজি মানুষের স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য উপকারী। একসঙ্গে অনেক কৃষক সবজি চাষ করে ব্যাপারীরা ট্রাক নিয়ে এসে আমাদের সবজি নিয়ে যান। এতে আমাদের পরিবহন ও অন্যান বেচে যায় । কীটনাশকের ব্যবহার ছাড়াই হলুদ ও ফেরোমন ফাঁদসহ নানা কৌশল ব্যবহার করে সবজির চাষ হচ্ছে। উপজেলার হযরতপুর ইউনিয়নের এসব সবজি বিষমুক্ত হওয়ায় স্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ। এছাড়া উৎপাদন খরচ কম ও দাম বেশি পাওয়ায় লাভবান হচ্ছেন কৃষকেরা। ফলে এই অঞ্চলের কৃষকদের এতে আগ্রহ বাড়ছে। স্থানীয় কৃষি অফিস এই প্রযুক্তিতে সবজি চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছে বলে জানা গেছে।
উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের নোয়াকান্দির আড়িয়লখাঁ চরাঞ্চল ঘুরে দেখা যায়, কৃষকরা বিষমুক্ত সবজি উৎপাদনে জমিতে নেট ব্যবহার করছেন। এ. পদ্ধতিতে উৎপাদিত ফসলের প্রচুর চাহিদা তৈরি হয়েছে। তাই কৃষকরা এ পদ্ধতিতে সবজি উৎপাদন করে বাজারজাত করছেন। বিষমুক্ত পদ্ধতিতে উৎপাদিত দেশি বেগুন, করলা, ফুলকপি ও বাঁধাকপি এখন বাজারেও পাওয়া যাচ্ছে । চর ঝাকালিয়া গ্রামের সবজি চাষি ফয়সাল রহমান বলেন, ্#৩৯;কিছুদিন আগেও কীটনাশক ছাড়া কোনো সবজিই উৎপাদন সম্ভব ছিল না। যখন জানতে পারি ঐ সবজির মাধ্যমে আমরাও বিষ খাচ্ছি, তখন থেকেই বিষমুক্ত সবজি উৎপাদন শুরু করেছি।্#৩৯; আলগীর চরের কৃষক হক মিয়া বলেন, ্#৩৯;এখন মানুষ স্বাস্থ্যসচেতন। তাই কীটনাশক দিয়ে উৎপাদিত সবজি কিনতে চায় না। তাই বিষমুক্ত সবজির চাহিদা বেড়েছে । দামও ভালো পাওয়া যাচ্ছে।
মসুয়া ইউনিয়নের চাষি আনোয়ার হোসেন বলেন, বিষমুক্ত সবজি উৎপাদনের লক্ষ্যে হলুদ ফাঁদ ও ফরোমন ফাঁদসহ অন্যান্য পোকা দমন পদ্ধতিতে চলতি মৌসুমে ১০/১৫ হেক্টর জমিতে চাল কুমড়া চাষ করেন এখানকার কৃষকেরা। এসব পদ্ধতিতে ক্ষতিকর পোকা দমন হওয়ার পাশাপাশি বাড়তি খরচ করে কীটনাশক প্রয়োগ করতে হচ্ছে না কৃষকদের। ফলে কীটনাশকের ব্যয় সাশ্রয় ও উৎপাদিত সবজি স্বাস্থ্যসম্মত হওয়ায় বাজারে ন্যায্য দাম পাওয়া যাচ্ছে। এতে কৃষকেরা লাভবান হচ্ছেন। ডাটা শাক, ধুন্দুল ও করলা চাষি আবু বাক্কার বলেন, বিষ প্রয়োগ ছাড়াই আমি করলা চাষ করছি। এতে কৃষি অফিস পোকা দমনের জন্য বিভিন্ন ধরনের ফাঁদ ব্যবহারসহ আমাদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শফিকুল ইসলাম ভূঞা বলেন, উপজেলায় দিন দিন বিষমুক্ত সবজি চাষ বাড়ছে। কটিয়াদী উপজেলা আগে থেকেই সবজি চাষের জন্য পরিচিত। তবে স¤প্রতি কিছু কৃষক বিষমুক্ত সবজি চাষে ঝুঁকে পড়েছেন। আমরা তাদের বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করছি।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin
কমেন্ট বক্স